ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ ভাইরাসকে প্রতিহত করতে বিশ্বব্যাপী গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। শনাক্তের পর থেকেই বিজ্ঞানীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে। বিশ্বব্যাপী ৭০টি ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ভ্যাকসিন তৈরির ক্লিনিক্যাল প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে হংকং অনুমোদিত ক্যানসিনো বায়োলজিকস ইনক। এছাড়া বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির পক্ষ থেকে আবিষ্কৃত একটি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করা হচ্ছে মার্কিন ড্রাগ প্রস্তুতকারক মোদারনা ইনক এবং ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালস ইনকের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন।
ক্যানসিনো গত মাসে বলেছিল, ভ্যাকসিনটির মানবিক পরীক্ষা শুরু করতে চীনা নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক মোদারনা মার্চ মাসে দ্রুত মানবিক পরীক্ষায় যাওয়ার অনুমোদন পেয়েছিল। ইনোভিও গত সপ্তাহে মানব পরীক্ষা শুরু করেছে।
ভ্যাকসিনগুলো বিকাশে অভূতপূর্ব গতিতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। বড় ও ছোট ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাকসিন তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ তারা জানে, ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে ভ্যাকসিন। সাধারণত একটি ভ্যাকসিন বাজারে আসতে ১ থেকে ১৫ বছরের মতো লাগে।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ১২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ গেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৩৪ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৯ জন।